রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

দেশের জনগণকে আওয়ামী লীগ বোকা ভাবে:মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে। দেশের জনগণকে সরকার বোকা ভাবে। মানুষ যে এখন সব বোঝে, এটা তারা বোঝে না।সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ রয়েছে, সে কারণে নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ভদ্র সাজার চেষ্টা করছে।

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

সোমবার রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা হয়।দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এতে অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য কালো আইন ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনটি পুরোপুরি বাতিল করতে হবে। এটি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী আইন। আমরা প্রথম থেকেই এই আইন বাতিল চাচ্ছি।

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বদলে সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে আইন প্রণয়ন করবে এটা আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আশা করি না। আওয়ামী লীগের চরিত্র আমরা জানি। গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে তারা সব সময় নিয়ন্ত্রণ করছে। এটা নতুন নয়, ১৯৭৫ সাল থেকে এই কাজ করে আসছে তারা।

বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক চাপের কারণে এখন তারা বাকশাল কিংবা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করতে পারছে না। তাই ওপরে মোড়কটা পরিবর্তন করলেও ভেতরে ঘটনা তাই ঘটছে।কিন্তু মনে রাখতে হবে, অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি যেন নির্বাচন করতে না পারে তার সব রকমের ব্যবস্থা সরকার করছে।লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তার করে আটকে রাখা, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির যেসব অধিকার রয়েছে তা থেকে বিরত রাখা।সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে আগামী নির্বাচনকে তাদের আবার ক্ষমতায় যাওয়ার পথকে প্রশস্ত করতে রাষ্ট্রকে ব্যবহার করছে।

নেতাকর্মীদের হাইকোর্ট থেকে জামিন এবং আবার জেলগেট থেকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাইকোর্টের দুই বিচারক বলেছেন তারা কতটা অসহায়। তাদের কথা কেউ শোনে না। তারা আদেশ দেন গ্রেপ্তার করা যাবে না। কিন্তু গ্রেপ্তার তো করেই, সঙ্গে রিমান্ডেও পাঠায়। বর্তমান অবৈধ সরকার অনৈতিক, অসাংবিধানিক, বেআইনি ফরমায়েশি রায় দিয়ে বিরোধী রাজনীতিকে নির্মূল করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে বলেও জানান বিএনপি মহাসচিব।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION